রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৭ অপরাহ্ন

প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় গণি আঘাত হেনেছে ফিলিপাইনে

প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় গণি আঘাত হেনেছে ফিলিপাইনে

স্বদেশ ডেস্ক: বছরের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় গণি আঘাত করেছে ফিলিপাইনে। প্রলয়ঙ্করী রূপ নিয়ে সে ঘন্টায় ২২৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাচ্ছে দেশটির ওপর দিয়ে। এর ফলে সেখানে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। এরই মধ্যে কমপক্ষে চারজন মারা গেছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি। রাস্তাঘাট ডুবে গেছে পানিতে। রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৪টা ৫০ মিনিটে ক্যানাডুয়েনিস দ্বীপে সুপার টাইফুন হিসেবে আছড়ে পড়ে গণি। তারপর থেকে সে দুর্বল হতে শুরু করেছে।

প্রবাহিত হচ্ছিল লুজোন দ্বীপের দিকে। এই দ্বীপেই রাজধানী ম্যানিলা অবস্থিত। ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হলেও খারাপ আবহাওয়ার পূর্বাভাষ দিয়ে যাচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। তারা সতর্ক করছেন এই বলে যে, প্রলয় সৃষ্টিকারী বাতাস আর ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকবে। এতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে। ঘটতে পারে ভূমিধস। কাদামাটি সহ পানির তীব্র স্রোত দেখা দিতে পারে। ফিলিপাইনে গণি পরিচিত রোলি নামে। ২০১৩ সালে এই দেশটির ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল ঘূর্ণিঝড় হাইয়ান। তাতে মারা যান কমপক্ষে ৬ হাজার মানুষ। তারপর গণিই সেখানে আঘাত করা সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়।

ম্যানিলা থেকে বিবিসির সাংবাদিক হাওয়ার্ড জনসন বলছেন, ক্যাটানডুয়েনিস দ্বীপের ছোট্ট শহর ভিরাক নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। সেখানে বসবাস করেন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। উদ্বেগের কারণ হলো সেখানে গণি আঘাত হানার পর ওই দ্বীপের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ হয়ে আছে। সেখানে কি ঘটছে তা কেউ বলতে পারছেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গণির চলার পথে বাতাসের তোড়ে উড়ে যাচ্ছে বাসার ছাদের অংশ। স্থানীয় সরকার সেখানে বিদ্যুতের ভয়াবহ সঙ্কটের কথা জানিয়েছেন। আশ্রয়কেন্দ্রের ছাদ ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। অবকাঠামোর হয়েছে ব্যাপক ক্ষতি। দেখা দিয়েছে বন্যা। বন্ধ হয়ে আছে সব সড়ক। আলবে প্রদেশে ৫ বছর বয়সী এক শিশু সহ মোট চার জন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দু’জন ডুবে মরেছে। একজনকে লাভার মতো উদগীরণ হওয়া কাদামাটি ভাসিয়ে নিয়েছে। একজন মারা গেছে গাছের নিচে চাপা পড়ে।
লেগাজপি উপকূলীয় শহর আলবে’র ফ্রান্সিয়া মাই বোরাস (২১) বলেছেন, বাতাসের গতি ভয়াবহ। গাছ মড়মড় করে ভেঙে যাওয়ার শব্দ পাচ্ছি। বাতাসের গতি আরো বাড়ছেই। উল্লেখ্য, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে এই দ্বীপরাষ্ট্রটির। গড়ে প্রতি বছর সেখানে কমপক্ষে ২০টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। গত সপ্তাহে একই এলাকার ওপর দিয়ে যখন ঘূর্ণিঝড় মোলাভে বয়ে যায়, তখন তাতে ২২ জন মারা যান। এ বছর করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে পূর্ব প্রস্তুতি জটিল আকার ধারণ করেছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877